দুর্যোগ ঝুঁকিতে ফেইসবুক-গুগলের হেডকোয়ার্টার
সিফাত তন্ময়
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকিতে আছে সিলিকন ভ্যালিতে থাকা বিশ্ব বিখ্যাত দুই প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও সার্চ ইঞ্জিন গুগলের হেডকোয়ার্টার । বৈশ্বিক উষ্ণতার দরুন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় সারা বিশ্বজুড়েই তীব্র শঙ্কা বিরাজ করছে। সান ফ্রান্সিসকো উপকূলের আশপাশে থাকা বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিতে পারে। এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গুগল, ফেইসবুক ও প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসকোর হেডকোয়ার্টার। যেভাবে এন্টার্কটিকার বরফ গলছে তাতে সমুদ্র পৃষ্ঠ ৬ফুট পরিমাণ বাড়লেই এ দুটি বিল্ডিংও প্লাবিত হবে। এ ব্যাপারে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া-বার্কলের পরিবেশ পরিকল্পনা এবং নগরায়ণ বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিনা হিল বলেন, ‘পানি অল্প একটু বাড়লেই গুগলপ্লেক্সসহ ওখানকার বিল্ডিংগুলো প্লাবিত হবে। গুগল এবং ফেসবুককে অবশ্যই তাদের ক্যাম্পাস পুনরায় অন্য কোন স্থানে নির্মাণ করতে হবে।উল্লেখ্য, উপসাগারীয় অঞ্চলটিতে অন্তত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার ফলে বন্যা, ঝড়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ফেইসবুক। সিলিকন ভ্যালিতে ফেইসবুকের চার লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার ফিটের একটি কমপ্লেক্স রয়েছে। যার ছাদের নয় একর এলাকা জুড়ে রয়েছে একটি বাগান। সম্পর্কে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কমিশনের জ্যেষ্ঠ পরিকল্পক লিনডে লো বলেন, ফেইসবুকের হেডকোয়ার্টারটি খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছে। এটি বানানো হয়েছে অনেক খারাপ একটা স্থানে। তিনি বলেন, আমি জানি না, প্রতিষ্ঠানটি তাদের হেডকোয়ার্টারের জন্য কেন এমন একটা জায়গা বেছে নিয়েছে। হয়তো তারা ভেবেছে, নিরাপত্তার জন্য তারা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.৬ ফুট বেড়ে যেতে পারে। এতে ফেইসবুক ক্যাম্পাস বন্যার কবলে পড়বে। একই ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে গুগল ও সিসকো’ও।
-টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস. টি.